মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬

ইমানের হাতিয়ার সুরা কাফিরুন

মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন
জান্নাত হলো সেই জায়গা যেখানে থাকতে দেয়া হবে প্রত্যেক ইমানদার তথা বিশ্বাসী ব্যাক্তিদের (অর্থাৎ সৎ পথ ও সৎ কাজের উপর যারা ছিলো এবং অসৎ কাজের উপর ও যারা অসৎ কাজ করে তাদের উপর চরম ঘৃনা রাখতো)
আর জাহান্নাম হলো সেই জায়গা যেখানে থাকতে দেয়া হবে বেইমান তথা অবিশ্বাসী ব্যক্তিদের (অর্থাৎ অসৎ পথ ও অসৎ কাজের উপর যারা ছিলো, সৎ পন্থিদের সাথে শত্রুতা রাখতো)
জান্নাত হলো চির স্থায়ী সুখের স্থান
আর জাহান্নাম হলো চির স্থায়ী দুঃখ কষ্টের স্থান
এই দুনিয়ায় জাহান্নামিরা তাদের কাজ করে বেইমান বা অবিশ্বাসী হয়ে মরবেই !
আর জ্ঞানি বিশ্বাসীরা (অর্থাৎ যাদের কাছে মহা কুরআনের জ্ঞান আছে)
তারা তাদের কাজ ও নিজের ইমান বা বিশ্বাসের উপর কাজ করেই মরবে, যদিও অবিশ্বাসিরা চাই, বিশ্বাসীরা আমাদের মতোই অবিশ্বাসী বা নাস্তিক অথবা মুক্ত মনা হোক)
তাই বিশ্বাসীদের প্রতি আল্লাহ করুনা করেছেন, ও তাদের বিশ্বাস ঠিক রাখতে কুরআনের মধ্যে সুরা কাফিরুন নামের সুরা নাজিল করে দিয়েছেন
যা অবিশ্বাসীদের উপর চীরকাল বিজয়ী করে রাখছে বিশ্বাসীদের যা বিশ্বাসীদের হাতিয়ার !
                 (সূরা কাফিরুন)

  সূরা কাফিরুন (১০৯) মক্কায় অবতীর্ণ , আয়াত সংখাঃ৬
আল্লাহ’র নামে শুরু করছি যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
বলুন, হে কাফেরকূল,
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
(বলাই বাহুল্য যারা মুক্তমনা বা নাস্তিক অর্থাৎ অবিশ্বাসী, তারা তাদের মনকেই প্রভু হিসাবে মেনে নেয়, এবং সে অনুযায়ী কাজ করে, মন যা বলে,
প্রথমে সাধারন মুছলমানরাও এর উত্তর খুজে পাইনি যে মুক্তমনা বা নাস্তিকদের ধর্মের নাম কি? এবং যারা আল্লাহকে বা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করেনা তারা কাকে প্রভু হিসাবে মানে?
এর উত্তর পাওয়া গেছে আল্লাহর কুরআনে
আল্লাহ বলেন
""তারা তাদের মনের প্রবৃত্তিকেই প্রভু বানিয়ে নিয়েছে""
অর্থাৎ মন যখন যা চাই বা বুঝে তথা সেচ্ছাচারীতাই হলো তাদের ধর্ম বা জিবন বিধান, যদিও বর্তমান ধার্মীক সমাজে, এতোটা কিছু করতে পারেনা, ধার্মীকরা যদি বাধা দেয়, এটাই ওদের সবচেয়ে বড় মনো কষ্টের কারন, তাইতো ওরা সাহসিকতার সাথে বাইরে বেড়িয়ে বলতে পারেনা তাদের মনের কষ্টের কারন, তাই আরকি যখন সুযোগ পায় তখন বিভিন্ন ব্লগে গিয়া মনের মতো সেচ্ছাচারীতা করে, খ্যাতার নিচে শুয়ে শুয়ে থর থর করে কেঁপে কেঁপে কাঁপর নস্ট করে আর বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দ্যাখে
হাঁ  হাঁ  হাঁ.... পাঁছায় নাই ছাল বাকলা, তিন গরু খায় একলা একলা !!!
তো যাই হোক সবাই প্রমান পেলাম তাদের ধর্ম বা জিবন ব্যাবস্থা সম্পর্কে এবং সেই অনুযায়ী কর্ম সম্পর্কে
এ হিসাবে তাদের বলা যায় সেচ্ছাচারী ধর্মের অর্থাৎ মুক্ত, মনের দিক থেকে মানে যা খুশি আরো খুলে বলি মনে যা আসবে তাই বলা করা, ও নিজের  একার কাছে যা ভালো মনে হবে, যদিও দশ জনের কাছে তা ভালো নয় বরং মন্দ হয়, নিজেকে ও নিজের মনকেই ও মনের কথাকেই, বড় ও সঠিক মনে করে
কিন্তূ সে এটা জানেনা , ""আপনাকে বড় বলে বড় সে নয়, লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়""
এই বানীর সত্যতাকেও স্বীকার করার মতো সামান্য জ্ঞান এখনো যার হয়নি
অর্থাৎ সেচ্ছাচারী মনা=মুক্তমনা= মূর্খ মনা= ভিতু মনা।
এই হলো ওদের ধর্মের তাত্ত্বিক সুত্র যার ব্যাখ্যা উপরে করা হয়েছে
তাদের প্রভুর নাম "মন"
তাদের ধর্ম বা জিবন ব্যাবস্থার নাম "যা খুশি তাই করা"
তাদের ধর্ম প্রচারের মাধ্যম ভার্চুয়াল জগৎ যেমন "বিভিন্ন ব্লগ"
তাদের ধর্ম গ্রন্থের নাম " ব্লগ পেজ " যেখানে যে কোনো ধরনের গাজাখুর মাতাল পাগলও মনের মুক্ত চিন্তা ঢেলে দিতে পারে এবং এতেই তারা চির খুশি ও কৃতজ্ঞ।
এবার আমরা বলতে চাই
""তুমাদের ধর্ম বা জিবন ব্যাবস্থা ও কর্ম এবং কর্ম ফল তুমাদের
আর আমাদের ধর্ম বা জিবন ব্যাবস্থা ও কর্ম এবং কর্ম ফল আমাদের""
আল্লাহ বলেন "" তাদের যতোই বুঝাও তারা যে কুকুরের লেজ সেই কুকুরের লেজই থাকবে""
এটা আর সুঝা হবেনা। 1 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুরের মিনারে স্বাগতম !!
প্রিয় বন্ধুরা..! মন্তব্য করতে ভুলবেননা....